| বৃহস্পতিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
গাজীপুরের কামারপাড়া ব্রিজের উভয় পাশে তুরাগ নদীর তীরভূমিতে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে কি না, তা দেখতে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। গাজীপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে তদন্ত করে পয়লা মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। মুখ্য বিচারিক হাকিম না পারলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের নিচে নন—এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে ওই তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তদন্তকাজে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, তুরাগ এবং টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
এর আগে হাইকোর্ট এক আদেশে গাজীপুর এলাকার তুরাগ নদে সব ধরনের মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণকাজ বন্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে ছবিসহ একটি প্রতিবেদন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের পক্ষে আজ দাখিল করা হয়। বিআইডব্লিউটিএর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মফিজুর রহমান। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানিতে অংশ নেন।
পরে প্রথম আলোকে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের পক্ষে দাখিল করা প্রতিবেদনে দেখা যায়, নয়টি প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। দাখিল করা ছবিগুলোতে আরও কিছু স্থাপনা দেখা যায়। তখন আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করার আরজি জানালে আদালত ওই আদেশ দেন।’
মনজিল মোরসেদ জানান, দুটি বিষয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, চার নদী রক্ষার মামলায় জরিপ অনুসারে উচ্ছেদ করা হয়েছে কি না এবং ওখানে আরও কোনো স্থাপনা রয়েছে কি না—এ দুটি বিষয়ে তদন্ত করতে হবে।
দ্য ডেইলি স্টারে গত ৬ নভেম্বর ‘টাইম টু ডিক্লেয়ার তুরাগ ডেড’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে তুরাগ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। শুনানি নিয়ে আদালত রুলও দেন।
Posted ০৯:০০ | বৃহস্পতিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain