রবিবার ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

  |   রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট

তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

tarek rahman

১৯ জানুয়ারি :  অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে নিম্ন আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। এ মামলায় নিম্ন আদালতের নথিও তলব করা হয়েছে। একইসঙ্গে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারিক আদালতে তিনি জামিন চাইতে পারবেন।

বিচারপতি মো. নিজামুল হক এবং বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোব বার এ আদেশ দেয়।  আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে গত ১৭ই নভেম্বর রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন।রায়ে তারেক রহমানকে খালাস দিলেও মামলার অপর আসামি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। পরে গত ৫ ডিসেম্বর দুদক তারেক রহমানকে খালাস দেয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদন দায়ের করে। গত বৃহস্পতিবার আপিলের শুনানি গ্রহণ প্রশ্নে শুনানি শুরু হয়। এক কার্যদিবস শুনানির পর গতকাল আদেশ দেয়া হয়।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে- গিয়াসউদ্দিন মামুনের সিঙ্গাপুরের অ্যাকাউন্ট থেকে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে ৫০ হাজার ডলার উত্তোলন করে তিনি খরচ করেছেন। নিম্ন আদালতের রায়ে বলা হয়, তারেক রহমান ২০ হাজার ডলার খরচ করার কথা ২০০৭ সালের দুদকে দাখিলকৃত হিসাববিবরণীতে দেখিয়েছেন বিধায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বিধায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে বিশেষ জজ আদালতে বিচারকাজ হওয়ায় তারেকের পক্ষে কোনো যুক্তিতর্ক পেশ হয়নি।

বিশেষ জজ আদালতে মামলা চলাকালে গত বছরের ২৬ মে তত্কালীন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোজাম্মেল হোসেন ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। অবশ্য পরে সে পরোয়ানা ফেরত নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ২৬ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহিম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০২ এর ১৩ ও ২(অ) (আ) (ঠ) ধারায় তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়ী বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে আসামি করে মামলা করেন। ২০১০ সালের ৬ জুলাই দুদক তারেক ও মামুনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে ২০১১ সালে ৮ আগস্ট আদালত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের কয়েকটি ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মইন-ফখরুদ্দিনের জরুরি সরকার ও বিগত শেখ হাসিনার সরকার আদালতে মোট ১৪টি মামলা করে। যার মধ্যে দশটি বর্তমানে উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। অর্থপাচারের মামলাটি ছাড়া তিনটি মামলার বিচারকাজ এখন চলছে। এসব মামলার মধ্যে আছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতি মামলা এবং ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলায় সম্পৃক্ততার মামলা।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:০৭ | রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com