বুধবার ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টার্গেট সংসদ নির্বাচন : মজুদ হচ্ছে অস্ত্র, গড়ে উঠছে কারখানা

  |   সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট

goli
আলম দিদার, 

চট্টগ্রাম : চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা এবং দশম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে অস্ত্র ব্যবসা। দেশের বাইরে থেকে আসা ও দেশে তৈরি অস্ত্রের মজুদ গড়ে উঠছে বৃহত্তর চট্টগ্রামে। অস্ত্র ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্রের চালান ও খালাসের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম।
নিরাপদ রুট চট্টগ্রাম দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হচ্ছে অস্ত্রের চালান। আবার দেশের বাইরে থেকেও অস্ত্র ও গুলি এনে মজুদ করা হচ্ছে চট্টগ্রামে। বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় গড়ে উঠেছে অস্ত্রের কারখানা। ছোট-বড় নানা ধরনের অস্ত্র এবং গুলি চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন রুটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ বিভিন্ন জনকে গ্রেপ্তার করলেও মূল হোতাদের কোনো হদিস নেই।
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্ট্যাডির (আইপিসিএস) তথ্য মতে, বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ২ লাখের বেশি। অবৈধ অস্ত্র আদান প্রদানে দেশে সক্রিয় রয়েছে ৮০টি গ্রুপ। এর মধ্যে ২৮টি গ্রুপ ঢাকাভিত্তিক। আর কিছু গ্রুপ দেশের পশ্চিমাঞ্চল কেন্দ্রিক তাদের তৎপরতা রেখেছে। এছাড়া বেশির ভাগ গ্রুপের তৎপরতা রয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রামে।
দামী অস্ত্রের রমরমা ব্যবহারের প্রধান উৎস হচ্ছে চোরাচালান। চট্টগ্রাম বন্দর ও তার তার আশপাশের বিভিন্ন ঘাটে জলপথে চোরাচালানির মাধ্যমে দেশের বাইরে থেকে আসা অস্ত্রের চালান খালাস হয়ে থাকে। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বিভিন্ন দেশের অস্ত্র আনা হয়। মাঝে মধ্যে বন্দর দিয়ে আসা অস্ত্রের চালান ধরা পড়লেও বেশিরভাগই আইন-শৃংখলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে ঢুকছে চট্টগ্রামে। কিংবা চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে।
গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আনোয়ারার সিইউএফএল জেটিঘাটে দশ ট্রাক অস্ত্র চালান ধরা পড়লেও এরপর থেকে এই ধরণের কোন বড় অস্ত্রের চালান ধরা পড়েনি। তবে এরপরও দেশে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার কমেনি। বিভিন্ন সময়ের হত্যাকাণ্ডগুলোতে ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক বিদেশি অস্ত্র। আর এসব নিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করলেও এখন নির্বাচন কেন্দ্রিক অস্ত্র ব্যবসায়ীদের তৎপরতায় তাদের তেমন কোনো বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানা যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত মাসে খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-শৃংখলা সভায় সীমান্ত সুরক্ষিত করতে বিজিবিকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি সকল গোয়েন্দা সংস্থাকে আরো তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সীমান্ত অঞ্চলের ৬০টি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন ৬শ’ থেকে ৭শ’ ছোট-বড় অবৈধ অস্ত্র দেশে প্রবেশ করছে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পেশিশক্তি প্রদর্শন ও রাজনৈতিক শোডাউনের কারণে অবৈধ অস্ত্রের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অস্ত্র ব্যবসায়ী তৎপর হয়ে উঠেছে। গত মার্চ মাসে আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও বাংলাদেশের অস্ত্র বেচা-কেনার প্রধান জোন হিসেবে চট্টগ্রামকে চিহ্নিত করা হয়।
র‌্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় অস্ত্রের কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলা ও কক্সবাজার জেলার মহেশখালী এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলার দুর্গম পাহাড়ে র‌্যাব ও পুলিশ বিগত সময়ে অস্ত্রের কারখানার সন্ধান পেয়েছে। গত মাসে সন্দ্বীপে এক যুবদল নেতার খামারবাড়ীতে দেশীয় অস্ত্রের কারাখানার সন্ধান পায় পুলিশ।
এছাড়া চলতি বছরের প্রথম দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাড়ে মইজ্যার টেক এলাকায় উদ্ধার করা হয় বস্তা ভর্তি একে-৪৭ রাইফেল। ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করতে এনে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে এই বস্তা ভর্তি রাইফেল ফেলে বিক্রেতারা নিরাপদে পালিয়ে যায়। জুলাই মাসে নগরীর বায়েজিদ এলাকা থেকে একে-৪৭ রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল এবং শাটারগানসহ গ্রেপ্তার করা হয় শিবিরের কয়েকজন ক্যাডারকে।
গত মাসে মইজ্জারটেক এলাকায় পুলিশ চেক পোস্টে তল্লাশি চালিয়ে কক্সবাজার ফেরত এক যুবকের কাছ থেকে দুটি অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করে। এভাবে চট্টগ্রামে প্রতিমাসে কমপক্ষে ১৭-১০টি অস্ত্র উদ্ধার হয়ে থাকে। কয়েক মাস আগেও শিবির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উদ্ধার করে এলজি, কার্তুজ এবং দেশে তৈরি অস্ত্র। গত শুক্রবার রামু সহিংসতার মূল আসামি নাইক্ষংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা তোফায়েল আহমেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ তাকে নিয়ে বান্দবানের দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করে।
গত শনিবার ভোরে নগরীর জিইসি মোড় এলাকা থেকে চারশ’ রাউন্ড গুলিসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করে সিএমপির চকবাজার থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া গুলির মধ্যে ৩০০টি পয়েন্ট টু টু বোরের আর বাকি ১০০টি শটগানের কার্তুজ। ভারতের সীমান্তবর্তী ফেনী জেলা থেকে এসব গুলি চট্টগ্রামে ক্রেতার কাছে সরবরাহের জন্য গ্রেপ্তার হওয়া দু’জনকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রকৃত বিক্রেতা এবং ক্রেতারা থেকে গেছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও তেমন কিছু আদায় করতে পারেনি।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সারা দেশে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলার সংখ্যা ১৭০টি। ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার সংখ্যা ১৭১টি, মার্চ মাসে ২১৫টি, এপ্রিল মাসে ১৮৮টি, মে মাসেও ১৮৮টি, জুন মাসে ১৭০টি, জুলাই মাসে ১৯৯টি, আগস্ট মাসে ১৭৬টি ও সেপ্টেম্বর মাসে ১৯১টি। এর মধ্যে বেশিরভাগ মামলা বৃহত্তর চট্টগ্রামে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চট্টগ্রাম থেকেই উদ্ধার হয়েছে বেশিরভাগ অস্ত্র ও গুলি। বাংলাদেশে যেসব অবৈধ অস্ত্র বেচা-কেনা হচ্ছে, তা ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের এবং দুর্গম এলাকায় গড়ে ওঠা কারখানায় তৈরি। এর মধ্যে রয়েছে পিস্তল, রাইফেল, স্টেনগান, মেশিন গান, সাব মেশিন গান, কালাশনিকভ এবং একে ব্র্যান্ড ও এম-১৬ রাইফেল। কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়েও অবৈধ অস্ত্র দেশে প্রবেশ করছে। ২০০২ সালে বিপুল পরিমাণ গুলিসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৮২টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় ১৭৩ জনকে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য মতে, চট্টগ্রামে বর্তমানে বেচা-কেনা হচ্ছে একে-৪৭, একে-৫৬, এম-১৬, এসএমজি, এসএমসিসহ বিভিন্ন ধরনের ভারি অস্ত্র। একে-৪৭ এর দাম ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। আমেরিকান অটোমেটিক পিস্তল দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। নাইন এমএম পিস্তল ম্যাগজিনসহ ১ থেকে ২ লাখ টাকা। চাইনিজ রাইফেল ২ লাখ টাকা। ২২ বোর পিস্তল ৪৫ হাজার টাকা। বর্তমান রাজনৈতিক সহিংসতা ও শোডাউন এবং জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট করে সন্ত্রাসীরা এসব অস্ত্র মজুদ শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোতে অস্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়েছে। গত মে মাসে নগরীর লালখান বাজারে হেফাজতের সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও হেফাজতের মধ্যে সংঘর্ষের সময় যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে ফায়ার করেন। এছাড়া গত কয়েকমাসে নগরীতে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক কর্মীকে। সর্বশেষ ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচিতে ইস্পাহানী মোড়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রের ব্যবহার করেছে। তাদের ছোঁড়া গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এর আগে সীতাকুন্ডের বাড়বকুন্ড জামায়াতের সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে গুলি করে মেরে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। গত সপ্তাহে বাঁশখালীতে সাবেক বিএনপি নেতা প্রবীণ এক আইনজীবীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এভাবে বৃহত্তর চট্টগ্রামে প্রতিদিন কোনো না কোনোভাবে অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছেই।
যারা অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত তারা সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত না থাকলেও প্রয়োজন রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ের জন্য বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতার সাথে তারা সখ্য গড়ে তোলে। তবে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মূল যোগাযোগ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত সন্ত্রাসীদের সাথে। আগামী নির্বাচনে নিজেদের কদর বাড়াতে অস্ত্রের মজুদ ভারি করছে তারা। আবার অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা প্রতিপক্ষের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে নিজের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুগত সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা একে-৪৭, একে-৫৬, একে-২২, একে-৮১, এম-১৬, এসএমজি, এসএলআর, চাইনিজ-৭৬২, ব্রিটিশ স্টেনগান, শাটারগান, উজিগান, নাইন এমএম পিস্তল, চাইনিজ রাইফেল এবং দেশীয় বন্দুক ও বিভিন্ন ছোট অস্ত্র সরবরাহ করছে। আন্ডার ওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণকারী প্রত্যেক সন্ত্রাসীর কাছে রয়েছে আধুনিক ভারী অস্ত্র। বর্তমানে রাজনৈতিক অস্তিরতার সময়কে অস্ত্র ব্যবসার প্রধান মৌসুম হিসেবে লুফে নিচ্ছে তারা। কারণ এ সময় অস্ত্রের দাম পাওয়া যায় ভালো।
সম্প্রতি দেশজুড়ে সহিংসতা ও নাশকতা পরিচালিত হলেও সবচেয়ে বেশি অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে চট্টগ্রামে। বিভিন্ন সহিংসতায় বোমা-ককটেলের পাশাপাশি প্রদর্শিত হচ্ছে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অস্ত্র ব্যবসার সবচেয়ে উপযোগী জোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আর চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথ, রেলপথ ও জলপথে অবৈধ অস্ত্র দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন সময় অস্ত্রের চালান ধরা পড়লেও বিশাল মজুদ থাকে নাগালের বাইরে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয় তারা স্রেফ অস্ত্র পাচারের কর্মী মাত্র। মূল হোতাদের সম্পর্কে তাদের কাছে বিস্তারিত কোনো তথ্য থাকে না। কেবল অর্থের লোভে অথবা ভয়-ভীতি দেখিয়ে নীরিহ মানুষকে অস্ত্র সরবরাহে ব্যবহার করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আক্তার বাংলামেইলকে বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে যে কোনো ধরণের নাশকতা মোকাবেলায় পুলিশসহ ডিবি পুলিশ কাজ করছে। তবে অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে আলাদা করে কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।’
র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্ত্রের ব্যবহার চট্টগ্রামে বেড়েছে এটা সত্য। র‌্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট সেসব অস্ত্রের সন্ধানে কাজ শুরু করেছে। শিগগিরই অভিযানের মাধ্যমে সফলাতা আসবে।’
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০০:০৭ | সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০১৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com