নিজের জীবনের বিনিময়ে ছয় জনকে রক্ষা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আট বছর বয়সী শিশু টিলর ডুহান। পরে অথর্ব দাদুকে জড়িয়ে ধরে আগুনে পুড়ে মারা গেছে শিশুটি। বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় দমকল বিভাগ ও টিলারের মায়ের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট রোচেস্টের বাসিন্দা টিলার ঘটনার দিন পেনফিল্ড শহরে এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছিল। রোববার রাতে বাড়িটিতে আগুন লাগার ঘটনাটি প্রথমে তার নজরে আসে। বাড়ির পেছনের ঘরটিতে থাকতেন তার প্রিয় দাদু। সে দাদুকে বাঁচাতে দৌড়ে ছুটে যায়।
এর আগে একে একে সে ডেকে তুলে পরিবারের ঘুমন্ত ছয় আত্মীয়কে। এদের মধ্যে ৪ ও ৬ বছরের দু’টি শিশুও রয়েছে। সবশেষে সে তার দাদুর ঘরে যায়। তাকে ঘুম থেকে জাগায়। কিন্তু পঙ্গু দাদুটি একা একা চলাফেরা করতে না পারায় তার পক্ষে বের হওয়া সম্ভব হয়নি। টিলার তাকে বিছানা থেকে তুলার চেষ্টা করতে থাকে। ইতিমধ্যে আগুন ঘরের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। তখন আগুনে পুড়ে জড়িয়ে ধরে মারা যায় ডুহান ও তার দাদু।
পরে দমকল কর্মীরা বাড়ির পেছনের ঘরের বিছানা থেকে দাদু ও নাতির লাশ উদ্ধার করে। ছেলের বীরত্বে গর্বিত মা ক্রিস্টাল ভ্রুমান। তিনি সিএনএনকে বলেন, ‘আমি তার এ আত্মত্যাগে গর্ববোধ করি। কিন্তু ওকে হারানোর কষ্ট আমি সহ্য করতে পারছি না।’
তিনি জানান, ঘটনার দিন সে তার খালার ঘরে ছিল। আগুন লাগার পর সে দাদুকে বাঁচাতে দৌঁড়ে পেছনের ঘরে ঢুকে যায়। অগ্নিকাণ্ডে দাদু নাতনি ছাড়াও তাদের আরো এক আত্মীয় মারা গেছেন। তবে সে টিলরের কে হন তা জানা যায়নি। আগুনে পরিবারটির কুকুর, বিড়ালসহ বেশ কয়েকটি পোষা প্রাণীও মারা গেছে।
ইস্ট রোচেস্টার শহরের এক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল টিলার। তার অকাল মৃত্যুতে স্কুল কর্তৃপক্ষ এক শোকবার্তায় বলেছে, ‘সে তার অত্মত্যাগের বিনিময়ে ছয় জনের জীবন বাঁচিয়েছে। সে একজন প্রকৃত বীর।’
Like this:
Like Loading...
Related