| বুধবার, ১৯ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ বুধবার আদালতে হাজিরা দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার পক্ষের অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন মেজবা মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এ মামলা দুটির চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করা হলেও বিভিন্ন কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় এখনো চার্জ শুনানি হয়নি। এদিকে বুধবার খালেদা জিয়া আদালতে এলেও মামলা দু’টির বিষয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা আবেদন অনিষ্পন্ন থাকায় সময়ের দরখাস্ত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
তিনি আরো জানান, খালেদা জিয়া মূলত ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে এই ট্রাস্ট গঠন করা হলেও এটি একটি ব্যাক্তিগত ট্রাস্ট। সরকারি কোনো অর্থ এখানে ব্যবহার করা হয়নি যে দুর্নীতির মামলা দায়ের হতে পারে। বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন থেকে এই ট্রাস্টে অর্থ সরবরাহ করেছে। এছাড়া এ ট্রাস্টের কোনো সদস্য এ সংক্রান্তে কোনো অভিযোগ করেননি। ট্রাস্টের আর্থিক কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে তবে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নির্ধারিত ট্রাস্টি বোর্ডে গিয়ে মামলা করবেন। সেক্ষেত্রে ট্রাস্টি বোর্ড অডিট করার আদেশ দিতে পারে।
এছাড়া অভিযোগের অনুসন্ধান পর্যায়ে খালেদা জিয়াকে বক্তব্য দেয়ার জন্য নোটিশ যথাযথভাবে দেয়া হয়নি। সে অনুযায়ী মামলা দুটির অভিযোগ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলে না মর্মে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। যা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, ‘খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। তার পক্ষের আইনজীবীরা তো আদালতে মামলা করেন না। তারা আদালতে সময়ই চান। দীর্ঘ বিলম্বিত এ মামলা দুটিতে প্রতিবারই হাইকোর্টে শুনানির কথা বলে সময় চাওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৪১ বার ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১১ বার খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়েছে।’
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। তবে অন্যতম আসামি খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক আছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে গত ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ খান। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চার জনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এ অনিয়মের অভিযোগে গত ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ মামলার তদন্ত শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
Posted ০৯:২৯ | বুধবার, ১৯ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin