| সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিনিধি : জমজমাট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ বরণ করা হয়। মুড়ি-মুড়কি, খৈ-বাতাসা ও খিচুড়ি-ইলিশে প্রাতঃরাশ, শিশুদের গান, বায়োস্কোপ প্রদর্শনী, সাপ খেলা, দেশ বরেণ্য শিল্পীদের একের পর এক লোকসঙ্গীত, লালনগীতি, ভাওয়াইয়া ও দেশী গানে বর্ষবরণ উৎসব সবাইকে মুগ্ধ করে। দুপুরে দেশীয় খাবারে বিশেষ মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাব সদস্যদের ছেলেমেয়েদের পরিবেশনায় ‘এসো হে বৈশাখ এসো’ গান দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
সকাল সাড়ে ৮টায় ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশেষ অনুষ্ঠান কমিটির আহ্বায়ক ও যুগ্ম-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী। সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনাক হোসেন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, কোষাধ্যক্ষ বদিউল আলম, ব্যবস্থাপনা কমিটি সদস্য, হাসান হাফিজ, নূরুদ্দিন আহমেদ, শামসুদ্দিন আহমেদ চারু, নূরুল হাসান খান, শান্তা মারিয়া, মাঈনুল আলম প্রমুখ ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বলেন, পহেলা বৈশাখ জাতীয় জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমাদের জাতীয় উৎসবের দিন। বাংলা নববর্ষ ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সর্বজনীন এক লোকজ উৎসব। পহেলা বৈশাখ নতুন বার্তা নিয়ে আমাদের চিন্তা চেতনা, ধ্যান-ধারণা ও অনুভূতিকে নাড়া দেয়। অতীতের সব ব্যর্থতা ও গ্লানি মূছে ফেলে নতুন অঙ্গীকারে কাজ করার সাহস ও প্রেরণা যোগায়। আজকের প্রেরণা হচ্ছে জাতীয় উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।
সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ শুভেচ্ছা বক্তব্যে ক্লাব পরিবারের সবাইকে শুভ নববর্ষ জানিয়ে বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও গর্বিত ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় উদ্ভাসিত সর্বজনীন এক উৎসবের দিন। প্রায় চার’শ বছর আগে মোঘল সম্রাট আকবরের নির্দেশে তার সভাসদ আমির ফতেউল্লাহ খান সিরাজি হিজরীর সঙ্গে মিল রেখে ফসলী সন হিসেবে বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ প্রচলন করেন। বাংলা নববর্ষে প্রথমে খাজনা আদায় ও হালখাতাই ছিল মুখ্য। বর্তমানে উৎসবই বাংলা সনের প্রধান উপজীব্য হয়ে উঠেছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজ আমরা নানা ধরনের অনুষ্ঠানে সেই উৎসবই উদযাপন করছি।
স্বাগত বক্তব্যে কাদের গণি চৌধুরী বলেন পহেলা বৈশাখ এক প্রাণের উৎসব। এই আয়োজন আমাদের জাতীয় চেতনাকে উজ্জীবিত করে।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বায়োস্কোপ প্রদর্শনী, সাপ খেলা ও লোক গান সবাইকে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়, সুমী শবনম ও তাঁর দল।
দ্বিতীয় দিনে প্রেস ক্লাব বইমেলা : এদিকে সপ্তাহব্যাপী প্রেস ক্লাব বইমেলার দ্বিতীয় দিনে গতকাল সোমবার অনেকটাই জমে উঠেছিল পাঠক আর দর্শকদের উপস্থিতিতে। মেলায় আগত দর্শক ও প্রকাশকরা জানান, প্রতিনিয়ন নির্ধারিত দিনে এই বইমেলা অনুষ্ঠিত এবং প্রচার-প্রচারণা বেশি হলে সামনের দিনে এ বইমেলাও লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের প্রাণের বইমেলার পরিণত হবে। প্রেস ক্লাব বইমেলা আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
Posted ১১:৩১ | সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin