| রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
মাসুদ সরকার, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : ধামইরহাটে পোল্ট্রি খামারিরা চেরিশ ফিডের খাদ্য কিনে ওজনে কম পেয়ে প্রতারিত হচ্ছে। এতে করে খামারিদেরকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
জানা গেছে,উপজেলা সদরের মেসার্স মা পোল্ট্রি এন্ড মেডিসিন ষ্টোর থেকে মুরগির খাদ্য হিসেবে পোল্ট্রি খামারিয়া আরবি এগ্রো লিমিটেড এর সোনালী স্টার্টার ৫০ কেজি ওজনের চেরিশ ফিড কিনে প্রতি বস্তায় প্রকারভেদে ২ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত খাদ্য কম পেয়েছেন।
আরবি এগ্রো লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হলেও এসব খাদ্য বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার শীতলাই এলাকায় অবস্থিত কোম্পানীর কারখানা থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। ধামইরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মঙ্গলকোঠা গ্রামের খামারি আতিকুল ইসলাম ও নেউটা গ্রামের আব্দুল আজিজ বলেন,বেশ কিছু দিন তারা চেরিশ ফিড মুরগির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন। কিন্তু সঠিক দামে খাদ্য কিনলেও ওজনে তাদেরকে কম দেয়া হয়েছে। এতে তাদের কে লোকসান গুনতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে চেরিশ ফিডের ধামইরহাটের ডিলার মা পোল্ট্রি ফিড এন্ড মেডিসিনের স্বত্ত্বাধিকারী নাহিদ আহসান বলেন,গত ৯ জানুয়ারী তিনি ২শ বস্তা খাদ্য কিনেছেন যার অধিকাংশ বস্তায় খাদ্য কম পাওয়া গেছে। বিষয়টি কোম্পানীর কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর গতকাল শনিবার সকালে কোম্পানীর প্রতিনিধির সামনে ১০টি ৫০ কেজি ওজনের বস্তা মাপ দেওয়া হলে ৬টি বস্তায় প্রকারভেদে ১ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত খাদ্য কম ছিল।
এ ব্যাপারে আরবি এগ্রো লিমিটেড উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বস্তায় খাদ্য ওজনে কম হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আপনাদের এত মাথা ব্যাথা কেন, প্রথম আলোর সাংবাদিক আমার পকেটে আছে, আপনাদের কি করার আছে করতে পারেন বলে সংবাদকর্মীদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করেন। ভোক্তা অধিকার আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ্যা নিতে উধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন প্রতারিত খামারিরা।
Posted ১২:২১ | রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin