নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
মানুষ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র থাকতে ভালোবাসে। আল্লাহ তায়ালাও পবিত্র মানুষদের ভালোবাসেন। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ -(সুরা তাওবা, আয়াত: ১০৮)
প্রাকৃতিক বেশ কিছু কারণে মানুষ অপবিত্র হয়ে যায়। তখন পবিত্র হতে হয় অজু অথবা গোসলের মাধ্যমে। যেসব কারণে একজন মানুষের ওপর গোসল ফরজ হয় এবং গোসল ছাড়া পবিত্রতা অর্জন হয় না এমন কারণ পাঁচটি। এখানে তুলে ধরা হলো-
. স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলে কিংবা পুরুষের স্বপ্নদোষ হলে।
হজরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, ‘যখন কোন পুরুষ তার (স্ত্রীর) দুই পা ও দুই রানের মাঝে বসবে এবং একের লজ্জাস্থান অপরের লজ্জাস্থানের সাথে লেগে যাবে তখন (দু’জনেরই) গোসল ফরয হয়ে যাবে।’ (মুসলিম: ৩৪৯)
. নারীদের ঋতুস্রাব অথবা পিরিয়ড হলে।
আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (স) ফাতেমা বিনতে আবু ইবাইসকে আদেশ করেন, ‘হায়েয শুরু হলে সালাত ছেড়ে দাও । আর হায়েয শেষ হলে গোসল কর এবং নামায পড়তে শুরু কর।’ (বুখারী: ৩২০, আধুনিক: ৩০৯, ইফা: ৩১৪)
. সন্তান প্রসবের পর রক্তপাত বন্ধ হলে।
. মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া জীবিতদের জন্য।
. কোনো অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করলে।
ফরজ গোসল করার নিয়ম
পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হওয়ার নিয়ত করতে হবে। মানে স্ত্রী-সঙ্গম, স্বপ্নদোষ, ঋতুগ্রাব ও প্রসব ইত্যাদির কারণে যে নাপাকি এসেছে, সেটা দূর করার নিয়ত করবেন। অর্থাৎ, মনে মনে এই চিন্তা করবেন যে — নাপাকি দূর করার জন্য গোসল করছি।
এরপর লজ্জাস্থানে লেগে থাকা নাপাকি প্রথমে ধুয়ে নেবেন। তারপর দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নেবেন। সাবান বা এজাতীয় কিছু দিয়ে ধুতে পারলে ভালো; না হলেও অসুবিধা নেই।
তারপর নামাজের অজুর মতো করে পূর্ণাঙ্গ অজু করবেন। এরপর পানি দিয়ে মাথা ভিজিয়ে নেবেন। তারপর প্রথমে শরীরের ডান অংশে এবং পরে বাম অংশে পানি ঢালবেন। তারপর সারা দেহে পানি ঢালবেন।
Posted ০৭:২৭ | শনিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain