| রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
সরকার গণআন্দোলনের তীব্রতা দেখে ভয়ে ভীত হয়েই দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা কোনো গোপন সংগঠন করি না। এ জন্য তলে তলে নয়, আলোচনা যদি হয়, তা প্রকাশ্যে হতে হবে। তবে অবশ্যই আলোচনার পূর্বে নির্দলীয় সরকারের গণদাবি নীতিগতভাবে মেনে নিতে হবে। আজ শনিবার বিকেলে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। একই সাথে গ্রেফতারকৃত দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুক্তি দাবিও জানান তিনি। রিজভী গ্রেফতারের পর দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা আলোচনার নামে ধু¤্রজাল সৃষ্টি করছে। আলোচনার আগে সব নেতা-কর্মীর মুক্তি দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে আলোচনা পরিবেশ তৈরি করতে হবে। গণ আন্দোলনের তীব্রতা দেখে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে এমন দাবি করে তিনি আরো বলেন, সরকার এখন অতিমাত্রায় ভীত হয়ে দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, হত্যা-গ্রেফতারের চালিয়ে শেষ রক্ষা পেতে চায়। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী দেয়, সব স্বৈরাচারের পতন হয়েছে গণআন্দোলনের মুখে। যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাংচুর ও গ্রেফতারের ঘটনা জঘন্যতম। এটি ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে সারাদেশে পুলিশ-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলা ও গুলিবর্ষনের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। কক্সবাজারের চকোরিয়া উপজেলার যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিমকে হত্যা করার পর তার নামাজে জানাজায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী গুলি চালিয়ে বিএনপি নেতা জাকের হোসেনকে হত্যা করে। এ ছাড়াও আজ শনিবার রাজধানীসহ সারাদেশে তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত, ২৬৮ জন গ্রেফতার, প্রায় ৪ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান। অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে জনগন স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে দাবি করে এ জন্য দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষ থেকে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের দাবি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে সব আন্তর্জতিক সম্প্রদায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কামনা করে। আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থার কথা সকল সময়ে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকার আমাদের দাবি উপেক্ষা করে এক দলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাকশাল কায়েম করতে চায়।
Posted ০২:৫৬ | রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin