| রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
ঢাকা : নিয়ম বহির্ভূতভাবে ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ ও ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করে তা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল করার আদেশ দেয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন এ আবেদন করেন।
আগামী বুধবার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে আইনজীবী জানান। গত ১৯ মার্চ বুধবার খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ বিশেষ আদালত-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়। আগামী ২১ এপ্রিল এ বিষয়ে সাক্ষ্য নেয়ার দিন ধার্য করে।
আইনজীবী খোকন বলেন, “সরকার দুদককে ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ মামলা করেছে। দুদক এ মামলায় যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়।” তিনি বলেন, “বিচারিক আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন না শুনেই এজলাসের বাইরে গিয়ে অভিযোগ গঠন করেছে। যা আইনের পরিপন্থী।”
বিচারক শুনানি না করে পেশকারকে দিয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন এ বিষয়ে ১০ জন আইনজীবী স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। এ ছাড়া ওই দিনের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত গণমাধ্যমের সংবাদ সংযুক্ত করা হয়েছে বলে আইনজীবী জানান। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
এজাহারে বলা হয়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানম নামে এক মহিলার কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। তবে জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেয়া হয়েছে, যা কাগজপত্রে উল্লেখ করা হয়। এই টাকার বৈধ কোনো উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ খান।
অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১০ সালের ৫ আগস্ট বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
অভিযোগপত্র দেয়ার পর ২৬টি ধার্য তারিখ পার হলেও আইনি মারপ্যাঁচে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। সর্বশেষ এ মামলায় খালেদা জিয়া গত বছরের ১১ অক্টোবর আদালতে হাজিরা দেন। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে এ মামলাটি করে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৩৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
Posted ১৩:২১ | রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin