| সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সপ্তম সাক্ষীর জেরা শেষ হয়েছে।
এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আসামি পক্ষ প্রসিকিউশনের এ দিন ধার্য করেন।
সৈযদ কায়সারের আইনজীবী আব্দুস সোবহার তরফদার প্রসিকিউশনের সপ্তম সাক্ষী শাহ হাসান আলী ওরফে ফুলু মিয়াকে জেরা করেন। জেরায় সাক্ষী বলেন, তারা তিন ভাই, তিন বোন। বর্তমানে তিনি ঠিকাদারীর সঙ্গে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করেন। ১৯৭০-৭১ সাল থেকেই তিনি সৈয়দ কায়সারকে চিনতেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবাহান তরফদারের এক প্রশ্নে জবাবে সাক্ষী বলেন, ‘আমার যতদূর মনে পড়ে ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত হবিগঞ্জ শহর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।’
‘কায়সার বাহিনী নামে কোন বাহিনী সে সময় গঠন করা হয়নি।’ আসামিপক্ষের আইনজীবী এমন দাবি করলে সাক্ষী শাহ হাসান আলি তা অস্বীকার করেন। সাক্ষী ফুলু মিয়া তার ভাবীকে বিয়ে করেছেন মর্মে জেরায় তিনি স্বীকার করেন। গতকাল রবিবার দেয়া জবানবন্দিতে প্রসিকিউশনের এ সাক্ষী বলেছিলেন, তার ভাই শাহ হোসেন আলী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার কারণে ১৯৭১ সালের ১৩ জুন সৈয়দ কায়সারের লোকজন তার বাবাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পাক সেনাদের হাতে তুলে দেয়। তারপর থেকে বাবার লাশ আর পাওয়া যায়নি। পরে মামলার কার্যক্রম আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
Posted ১২:১৩ | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin