নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০২৩ | প্রিন্ট
আমদানির পরেও দেশের বাজারে কমছে না কাঁচা মরিচের ঝাল। রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। সারাদেশের বাজারেই কমবেশি একই অবস্থার কথা জানা গেছে। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় কমছে না কাঁচা মরিচের দাম। অপরদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ সরবরাহ প্রচুর তারপরেও দাম বেশি কাঁচা মরিচের।
এছাড়াও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা-রসুন। আদার দাম কিছুটা কমলেও রসুনের বাজারে আগুন জ্বলছেই। বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৩০ টাকা। ২২০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আমদানি করা চায়না রসুন। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকা, চায়না আদা ২০০-২২০ টাকা। বাজারভেদে এসব দাম ১০-২০ টাকা কমবেশি বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মুগদা মদীনাবাগ বাজারে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানেই রয়েছে কাঁচা মরিচ। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কিনছেন অল্প করে। বাজার করতে আসা রহিদুল দামে এক ক্রেতা বলেন, যে কাঁচা ৪০-৫০ টাকা কেজি কিনেছি সেখানে এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকা দিয়ে। বাজারে তো মরিচ কম দেখছি না। প্রতিটা দোকানেই মরিচ দেখছি।
মিজান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, আগে হাফ কেজি মরিচ কিনতাম, দাম বেশি হওয়ায় এখন একশ গ্রাম কিনি। খবরে দেখতেছি বাইরে থেকে নাকি মরিচ আমদানি হচ্ছে তারপরেও তো দাম কমছে না।
পাশের এক দোকানদার বলেন, তাও আগের থেকে দাম কমেছে, কয়েক দিন আগে এই কাঁচা মরিচ ৪০০-৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। আমাদের কম দামে কিনতে পারলে তো আর বিক্রি করতে সমস্যা নাই।
তবে কয়েক সপ্তাহ আগে হাজার টাকার উপরে উঠেছিল কাঁচা মরিচের দাম। বেশ কিছুদিন ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। আমাদানির পরেও ক্রেতাদের হাতের নাগালে আসেনি নিত্যপণ্যটির দাম।
জানা গেছে, দুই দিন আগেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক দিনে ৬৫ হাজার ৮৫৫ কেজি কাঁচা মরিচ ঢুকেছে। ১৬ আগস্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারতীয় নয়টি ট্রাকে এসব কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। এতে স্থানীয় বাজারগুলোতে কমতে শুরু করলেও তেমন প্রভাব নেই রাজধানীর বাজারগুলোতে।
এদিকে নিত্যপণ্য এসব জিনিসের দাম নিয়ে চলছে বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলি। গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ডিম বা মুরগি অথবা পেঁয়াজ কিংবা কাঁচা মরিচের দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট না। এগুলোর উৎপাদন, চাহিদা অন্য দুটি মন্ত্রণালয়ের কাছে থাকে। সরকার এসব পণ্যের যে দাম নির্ধারণ করে দেয় সেটি অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে কি না তা ভোক্তা অধিকার তদারকি করে থাকে। কিন্তু যেকোনো পণ্যের দাম বাড়লেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে অভিযান পরিচালনা করার জন্য যে পরিমাণ লোকবল প্রয়োজন সে পরিমাণ জনবল তাদের নেই। আমরা বাড়ানো উদ্যোগ নিয়েছি। এই দফতরের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকা দরকার। নিজস্ব কর্মকর্তাদের অথবা যারা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন এধরনের কর্মকর্তাদের ভোক্তা অধিদফতরে পদায়ন করা যায় বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম
Posted ১০:১১ | শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain