| শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০২২ | প্রিন্ট
আখিরাতের স্মরণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো কবর জিয়ারত। এর মাধ্যমে অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয়। অনেকেই কবর জিয়ারতকালে কবরের দিকে তাকিয়ে দোয়া-মুনাজাত করে। আবার অনেকেই কিবলামুখী হয়ে মুনাজাত করে। তবে প্রচলিত এই দুই পদ্ধতির মধ্যে কোনটি শরিয়ত সম্মত বা কিবলামুখী হওয়ার জন্য কি কোনো নির্দেশনা বা আবশ্যকতা আছে?
কবর সামনে রেখে দুই হাত তুলে দোয়া উচিত নয়। তাই কবরকে পেছনে রেখে কিংবা কবরের দিকে পিঠ দিয়ে এরপর কিবলামুখী হয়ে দোয়া করা চাই। আবার কেউ চাইলে হাত না তুলে মনে মনেও দোয়া করতে পারেন। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৩৫০, কিতাবুল কারাহিয়্যা)
রাসূল (স:) মৃতের দাফন শেষ করে কবরে দাঁড়িয়ে বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং সে যেন প্রতিষ্ঠিত থাকে সেজন্য দোয়া কর। কেননা তাকে এখনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে’ (আবূদাউদ হা/৩২২১, সনদ ছহীহ)।
তবে কবর থেকে বরকত হাছিল করা বা কবরবাসীর নিকট থেকে কিছু প্রার্থনা করার জন্য কোনো কবরের দিকে মুখ করে দোয়া করা নিষিদ্ধ (ইবনু তায়মিয়া, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৭/১৬৫)।
যেভাবে কবর জিয়ারত করবেন: কবরস্থানে যাওয়ার পর সর্বপ্রথম জিয়ারতের দোয়া পড়বেন। এরপর কবরবাসীর ইসালে সওয়াবের নিয়তে দরুদ শরিফ ও বিভিন্ন সুরা ইত্যাদি পড়বেন। মৃতের বা কবরবাসীর মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবেন।
কবর জিয়ারতের দোয়া:আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনার কবরবাসীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই দোয়া পাঠ করেন—
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْقُبُورِ يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ أَنْتُمْ سَلَفُنَا وَنَحْنُ بِالأَثَرِ
বাংলা উচ্চারণ : আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর; ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল আ-সার।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, একবার রাসুল (সা.) একটি কবর জিয়ারতে গিয়ে বলেন—
السَّلامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤمِنينَ وإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاحِقُونَ
বাংলা উচ্চারণ : আসসালামু আলাইকুম দারা ক্বাওমিম মুমিনিন ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লা-হিকুন।
অর্থ : মুমিন এই ঘরবাসীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। ইনশাআল্লাহ আমরা আপনাদের সঙ্গে মিলিত হবো। (সহিহ মুসলিম : ২৪৯)
Posted ০৬:৪২ | শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain