| বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
ঢাকা: সংসদ নির্বাচনে তফসিল পরিবর্তন কোনোভাবেই মেনে নেবে না আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সম্ভাব্য সব রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘তফসিলের হেরফের আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না। আগামী নির্বাচন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ীই হবে। কোনো হেরফের হবে না। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে।’
কূটনৈতিক তৎপরতার কথা উল্লেখ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন, নির্বাচন কীভাবে হবে। আমরা তাদের প্রশ্ন করেছি আপনাদের দেশে কীভাবে নির্বাচন হয়? তারা বলেছেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। আমার বলেছি, তাহলে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করলে দোষ কোথায়? তাদের এই দ্বৈত চরিত্র মেনে নেয়া যায় না।’
এরশাদ নির্বাচনে ফিরে আসবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপেক্ষা করুন। সময় লাগবে। সময় মতো জানতে পারবেন।’
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘যারা বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না তারা গণতন্ত্রের বন্ধু হতে পারে না।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্যের পর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের শুরুতেই আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা এবং সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
বৈঠকে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা দিবসের বিস্তারিত কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।
এছাড়াও বৈঠকে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এবং উপ দফতর সম্পাদক পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। দলটির দফতর সম্পাদক সাবেক গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের স্থলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের স্থলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিনেক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
বৈঠকের দীর্ঘ আলোচনায় দেশের সর্বশেষ রাজনীতি, বিএনপি-জামায়াতের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, আগামী নির্বাচন এবং নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে জাপার চেয়ারম্যান এরশাদের রহস্যজনক তৎপরতা নিয়েও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বক্তব্যে রাখেন বলে বৈঠক সুত্রে জানা গেছে।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ৫টার পরে শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতেও শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা। এদিনই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন এরশাদ। আর বুধবার তিনি দলের মন্ত্রীদের পদত্যাগ করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মতিয়া চৌধুরী, লতিফ সিদ্দিকী, শওকত আলী, ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, নূহ-উল আলম লেনিন, মাহবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফারুক খান, আহমদ হোসেন, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, মৃণাল কান্তি দাস, অসীম কুমার উকিল, আমিনুল ইসলাম আমিন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
Posted ১৬:১১ | বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin