| বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
ঢাকা, ২৮ নভেম্বর : জাতীয় পার্টি থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদকে এইচ এম এরশাদ কর্তৃক বহিষ্কারের কিছুক্ষণের মধ্যে কাজী জাফরও এরশাদকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিলেন। নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে জাতীয় পার্টির দুই শীর্ষ নেতার বিরোধের ফলশ্রুতিতে এ পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটলো।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বারিধারার একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভার শুরুতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ কাজী জাফরকে বহিষ্কারের কথা জানান। পরবর্তীতে কাজী জাফরের ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মোস্তাফা জাতীয় পার্টি থেকে চেয়ারম্যান এরশাদকে কাজী জাফর বহিষ্কার করেছেন বলে জানান।
কাজী জাফরের বহিষ্কার সম্পর্কে এরশাদ বলেন, অনেক ধৈর্য ধরেছি। তাকে চিকিৎসা করিয়ে আমি নতুন জীবন দিয়েছিলাম। কিন্তু সঙ্গে রাখতে পারলাম না। উনি এখন প্রতিদিন আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছেন।
অপরদিকে, দলের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ সম্প্রতি এরশাদের নির্বাচনে যাওয়ায় তার কঠোর সমালোচনা করে তাকে ‘জাতীয় বেঈমান’ হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এরশাদের সঙ্গ ছাড়ার কথা জানান। কাজী জাফর বলেন, এই মুহূর্তে থেকে আমি আর এরশাদের জাতীয় পার্টিতে নেই। সত্যিকারের জাতীয় পার্টিতে আছি।
এরশাদকে ‘জাতীয় বেঈমান’ আখ্যা দিয়ে কাজী জাফর বলেন, ‘এরশাদ রাতারাতি থুতু ফেলে আবার সেই থুতু চেটে তুলবেন- এটা আমার কল্পনাতেও ছিল না। তিনি (এরশাদ) বলেছিলেন, আমি দালাল হয়ে মরতে চাই না, একদলীয় নির্বাচনে গেলে জনগণ আমাকে থুতু দেবে, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে বেহেশতেও যেতে চাই না, কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে যাবো; কিন্তু একদলীয় নির্বাচনে যাবো না। এরশাদ তার কথা রাখেননি। হঠাৎ শুনলাম, সাতজন মন্ত্রী নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দিচ্ছেন এরশাদ। এ ধরনের বিশ্বাসভঙ্গের ইতিহাস আমি শত বছরের রাজনীতিতে দেখিনি।’
প্রসঙ্গত, এরশাদ নাটকীয়ভাবে বারবার জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে চলেছেন। কিছুদিন পূর্বে মহাজোট ছেড়ে নতুন জোট গড়ার ঘোষণা, বিএনপি নির্বাচনে না জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে না, আ.লীগের সাথে দালালি করে বেহেশতেও যেতে রাজি নন বলে বিভিন্ন সাক্ষাতকারে ও সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তারপরেই জাতীয় পার্টির কয়েকজন সদস্যকে পুনর্গঠিত মন্ত্রীসভায় পাঠিয়ে আবারও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও মন্ত্রীসভায় অংশগ্রহণের ফলে দলে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরের সাথে মত বিরোধ তৈরি হয়।
Posted ২২:০০ | বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin