নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
ইবাদতের নিয়তে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। এই সময়ের মধ্যে শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃত পানাহার বা সহবাস করলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাজা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে। (মাবসুত, সারাখসি: ৩/৭৩; আলবাহরুর রায়েক: ২/২৭৬)
পানাহার ও সহবাস ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে ইচ্ছাকৃত ভাঙলে কাফফারা দিতে হবে না, তবে কাজা করতে হবে। (মাবসুত, সারাখসি: ৩/৭২)
আর রোজার কথা স্মরণ না থাকার কারণে কেউ খাওয়া-দাওয়া করলে বা স্ত্রী সহবাস করলে রোজা ভাঙবে না। (শামি: খ. ৩, পৃ. ৩৬৫)
তবে, ইফতারির সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতার করে নিলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। তেমনি সুবহে সাদিকের পর সেহেরির সময় আছে ভেবে পানাহার বা স্ত্রীসঙ্গম করলেও রোজা ভেঙ্গে যাবে। (আদ্দুররুল মুখতার: ২/৪০৫; বাহরুর রায়েক: ২/২৯১)
এক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে একটি রোজা কাজা করতে হবে। কিন্তু সুবহে সাদিক হয়ে গেছে জানা সত্ত্বেও আজান শোনা যায়নি বা এখনো ভালোভাবে আলো ছড়ায়নি—এ ধরনের ভিত্তিহীন অজুহাতে খানাপিনা করলে বা স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হলে কাজা-কাফফারা দুটোই জরুরি হবে। (সুরা বাকারা: ১৮৭; মারেফুল কুরআন: ১/৪৫৪-৪৫৫)
রমজানের রোজা ফরজ বিধান ও ইসলামের অন্যতম ভিত্তি। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, হে ঈমাদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া (আল্লাহভীতি) অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
রোজা যেমন মহামূল্যবান ইবাদত, তেমনি এর ফজিলতও অনন্য। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, রোজার প্রতিদান আমি নিজেই দেবো, কেননা তা একমাত্র আমার জন্য। আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। পানাহার পরিত্যাগ করেছে। (মুসলিম: ১১৫১, মুসনাদে আহমদ: ৯৭১৪, সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৬৩৮)
Posted ০৯:০৫ | বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain