নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট
অনলাইন ডেস্ক: সেইন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ চার ফিফটির সুবাদে করে ৩২১ রান। চলতি বছরে এটিই বাংলাদেশের প্রথমবার ৩০০ রান পার করা।
৬ষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং জাকের আলী অনিক যোগ করেন ১৫০ রান। এটি ৬ষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। সেইসঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। অবশ্য প্রথমে ব্যাট করার সাপেক্ষে এটিই সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে টন্টনে রানতাড়া করতে গিয়ে ৩২২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সেবার অবশ্য রানতাড়া করতে নেমেছিল বাংলাদেশ।
৩২১ রান করার পর জয়ের আশা যে কেউ করতে পারে। বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরাও করেছিলেন। সেই হিসেবে বোলাররাও শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেছিল, কিন্তু দুটি ইনিংসই বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন শেষ করে দিলো। ২৫ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। তাতে ১০ বছর পর ওয়ানডে সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের কাছে ধবলধোলাই হলো বাংলাদেশ।
অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ওয়ানডে সিরিজে এ হারের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মিরাজ বলেন, ‘আমরা বোলিংয়ে আরও ভালো করতে পারতাম এবং মাঝের ওভারগুলোয় আমরা উইকেট নিতে পারিনি—এটাই ছিল আমাদের জন্য সমস্যা।
হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর মিরাজের কথায় শেখার প্রসঙ্গও থাকলো। যেমনটা প্রথম দুটি ওয়ানডেতে হারের পরও ছিল। তবে এবার একটু অন্যভাবে। ৬৩ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহর প্রশংসায় মিরাজ বলেছেন, ‘তিনি খুব ভালো করেছেন। সিরিজে তিনটি ফিফটি পেয়েছেন, যেগুলো আমাদের দলের জন্য ভালো মুহূর্ত। আমরা তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি।
মিরাজের শেখা মানে উন্নতির কথা থাকল মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে করা প্রশংসার পরও। তবে সেটা প্রতিশ্রুতি হিসেবে, ‘এই সিরিজের পর আমাদের সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং আমরা জানি, আমাদের উন্নতি করতে হবে। আশার কথা হলো, কীভাবে উন্নতি করতে হবে, সেটা আমরা বুঝি।
বেশ কিছু নিয়মিত মুখ ছাড়া ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। চোটের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন নেই, নেই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম আর তাওহিদ হৃদয়ও। মোস্তাফিজুর রহমান পারিবারিক কারণে ছুটিতে। মিরাজের কণ্ঠে তাদের অভাব টের পাওয়ার কথাও ঝরল, ‘এই সিরিজে আমরা বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে পাইনি। (চারে ব্যাটিংয়ে) আমাকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
বাংলাদেশের সামনে এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কিংসটাউনে ১৬, ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে।
Posted ০৫:০২ | শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain