নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
আকিকা কী ও তার হুকুম কী? আকিকা আদায়ের সময় নির্দিষ্ট আছে কি না? আকিকা আদায়ের নিয়ম কী? নিজের আকিকা নিজেই আদায় করতে পারবে নাকি তা পিতাকেই আদায় করতে হবে? আকিকার গোশত পিতামাতা ও আত্মীয়রা খেতে পারবে?
এসব প্রশ্নের ইসলামিক উত্তর হচ্ছে, সন্তান জন্মের পর আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে জন্মের সপ্তম দিনে পশু জবাই করাকে আকিকা বলে। আকিকা করা মুস্তাহাব।
হাদিস শরীফে আকিকার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
রাসুল (সা.)-কে আকিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সন্তানের আকিকা করার ইচ্ছা করে, সে যেন তা পালন করে। ছেলের জন্য সমমানের দুইটি ছাগল। আর মেয়ের জন্য একটি। ’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস: ৭৯৬১)
অন্য হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, সন্তানের সঙ্গে আকিকার বিধান রয়েছে। তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করো (অর্থাৎ পশু যবাই কর) এবং সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু (চুল) দূর করে দাও। (বুখারি, হাদিস: ৫৪৭২)
সন্তান জন্মের সপ্তম দিন আকিকা করা উত্তম:
রাসুল (সা.) তার দৌহিত্র হাসান ও হুসাইন (রা.)-এর আকিকা সপ্তম দিনে করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২৮৩৪)
এছাড়াও জামে তিরমিজির এক হাদিসে (হাদিস: ১৫২২) সপ্তম দিনে আকিকা করার কথা বলা হয়েছে। তাই সম্ভব হলে সপ্তম দিনেই আকিকা করা উত্তম।
সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে বা একুশতম দিনে করা ভালো। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আকিকা সপ্তম দিনে হওয়া উচিত। তা সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে। তাও সম্ভব না হলে একুশতম দিনে। ’ (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস ৭৬৬৯)
একুশ দিনের মধ্যে আকিকা করা না হলে, পরবর্তীতেও তা আদায় করা যাবে। সন্তানের আকিকা করার দায়িত্ব তার পিতার। অবশ্য অন্য কেউ বা নিজেও নিজের আকিকা করা জায়েজ আছে।
গোশত সন্তানের পিতামাতা-আত্মীয়স্বজন খেতে পারবে:
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আকিকার গোশত নিজে খাবে, অন্যকে খাওয়াবে এবং কিছু সদকা করবে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৭৬৬৯)
সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা (রহ.) বলেন, আমি আতা (রহ.)-কে বলতে শুনেছি, ‘…আকিকার গোশত তার পরিবার খেতে পারবে এবং হাদিয়াও দিতে পারবে। ’ আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তা কি সদকা করে দিতে হবে? ‘তিনি বললেন, না, তুমি চাইলে খেতে পারো এবং হাদিয়াও দিতে পারো। …’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস: ৭৯৬৯) সূএ: ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম
Posted ০৬:৩৯ | শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain